সহজে সেল্ফ ডিজিটাল বিজনেস প্লাটফর্ম

সেল্ফকে এখনও অনেকে গুলিয়ে ফেলছেন গতানুগতিক কিছু ভালো-খারাপ বিজনেসের সাথে। তাই আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে সেল্ফ বিজনেস প্লাটফর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়ার প্রচেষ্টা। হয়তো এভাবে অনেকেই ভাবেন নি আগে...।

প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আমাদের বিজনেস কনসেপ্টটা খুবই ইউনিক আর যুগোপযোগী। একই সাথে বাস্তবসম্মত এবং কার্যকরীও বটে।

আমাদের বিজনেস এপস এর নাম 'সেল্ফ-মাই ডিজিটাল বিজনেস প্লাটফর্ম'। আমাদের বিজনেস বুঝতে হলে আগে আপনাকে 'প্লাটফর্ম' শব্দটি ভালো করে বুঝতে হবে।

প্লাটফর্ম বলতে আমরা কি বুঝি?

সহজভাবে বলতে প্লাটফর্ম বলতে আমরা এমন একটা নির্দিষ্ট স্থানকে বুঝি যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হয় এবং সেখান থেকে তারা তাদের কিছু উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বা চাহিদা পূরণ করতে পারে। কিংবা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

উদাহরণস্বরুপ- আমরা মার্কেট বা বাজার, রেলওয়ে স্টেশন বা বাস স্টেশন ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারি। এগুলা সবই এক একটা প্লাটফর্ম।

কিন্তু কিভাবে? বলছি, দেখুন...।

একটি মার্কেট বা বাজারে আমরা কি দেখি? আমরা খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারি যে এর সাথে মূলত তিনটি পক্ষ জড়িত। মার্কেটের মালিক পক্ষ, ব্যবসায়ী/দোকানদার বা বিক্রেতা পক্ষ আর ক্রেতা, কাস্টমার বা ভোক্তা পক্ষ।

আর এটাকে একটি লোকাল বিজনেস প্লাটফর্ম বলা হয়। এখানে মালিক পক্ষ একটি লোকাল মার্কেট প্লাটফর্ম রেডি করে বিজনেস করার সুযোগ দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে দোকান ভাড়া নিয়ে বিজনেস করছেন। আর কাস্টমাররা তাদের সকল নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য এই একই প্লাটফর্মের বিভিন্ন দোকানগুলো থেকে কেনাকাটা করছে। এমনটাই তো হয়ে থাকে তাই না...?

এবার যদি রেলস্টেশনের বিষয়টা দেখি তবে দেখা যায় যে এখানেও আগের মতো তিনটি পক্ষই জড়িত। যদি আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনের কথা বলি তাহলে এখানে আমরা কি দেখি...?

আমরা দেখি যে সরকার পক্ষ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন নামক একটি প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন। এটাকে কেন্দ্র করে জনসাধারণ বা যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে আর রেলগাড়ির চালক থেকে শুরু করে এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেবামূলক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এছাড়াও এই প্লাটফর্মকে কেন্দ্র করে অনেক ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমান ও স্থায়ী দোকানপাট গড়ে তুলে একটা ইনকামের ব্যবস্থাও করছেন। প্লাটফর্ম এমনই হয়।

আশা করি প্লাটফর্ম বিষয়টি এবার পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি না বুঝেন, আবার পড়ুন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই প্লাটফর্মগুলোতে যারা ব্যবসায়ীক কাজ পরিচালনা করে ইনকাম করছেন তাদেরকে কি প্লাটফর্ম কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা বা বেতন দেয়ার কথা বলেন? নিশ্চয়ই বলবেন না। কারণ সে নিজের টাকা খরচ করে একটা ইনকাম করার বা ব্যবসা করার পথ বা প্লাটফর্ম রেডি করে দিয়েছেন। সুতরাং এই প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য প্লাটফর্ম কর্তৃপক্ষকেই ব্যবসায়ীদের মাসিক ভাড়া দিতে হবে। বাস্তবে যা হয় আর কি। এটাই তো স্বভাবিক তাই না...?

হ্যাঁ, আমরা এমনটাই দেখে থাকি। একজন ব্যবসায়ী এডভান্স টাকা দিয়ে মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া প্রদান সাপেক্ষে একটি দোকান নিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন। এগুলোকেই লোকাল বিজনেস প্লাটফর্ম বলা হয়।

এতক্ষণের আলোচনা যদি বুঝে থাকেন তবে আমাদের বিজনেসটা ইতিমধ্যে বুঝতে পারার কথা। তবুও বলছি শুনুন....

বর্ণিত আলোচনার প্লাটফর্ম গুলো ছিলো লোকাল বিজনেস প্লাটফর্ম। আর আমাদের সেল্ফ হচ্ছে ডিজিটাল বিজনেস প্লাটফর্ম। মূল পার্থক্য লোকাল আর ডিজিটাল এই দুটি শব্দদ্বয়ের মাঝেই। তবে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সেল্ফ অনেক ধাপ এগিয়ে।

সেল্ফ কি করেছেন তাহলে? সেল্ফ আমাদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে একটি ডিজিটাল বিজনেস প্লাটফর্ম রেডি করে দিয়েছেন। আমরা যারা উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হিসেবে বিজনেস করতে চাই তাদের জন্য বিভিন্ন যুগোপযোগী সার্ভিস বা সিস্টেম তৈরি করে রেখেছেন। আবার কাস্টমারদের জন্যেও ফ্রি সার্ভিস নিয়ে ইনকামের সুযোগও দিয়েছেন।

তাহলে আমরা যদি এখানে বিজনেস করতে চাই তবে আগের মতো নিশ্চয়ই ভাড়া দেওয়া উচিত। তাই নয় কি...? এটাই তো যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সেল্ফ সেটা বলছেন না। সেল্ফ এককালীন মাত্র ১০০০ টাকা চেয়েছিলেন। আর আমরা উল্টা পাল্টা নানা কথা বলেছিলাম। দিতে রাজি হয় নি।

সেল্ফ এখন আবার কোনো টাকাই চাইছেন না। বরং ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ী কাজে অধিক লাভবান আর উৎসাহী করার জন্য মাত্র ১৩৫০ টাকা জামানতস্বরুপ নিচ্ছেন। তাও আবার ১ বছরের মধ্যে ফেরতযোগ্য।

এছাড়াও আরও কত শত সুবিধা। যেমন- ইনসেন্টিভ, বোনাস, গিফট, আনলিমিটেড স্থায়ী কাস্টমার তৈরির সুযোগ, ট্রেনিং, সাপোর্ট ইত্যাদি।

আর এ সব কিছুই সেল্ফের এক মহৎ উদ্দেশ্য বহন করে।

সেল্ফ চাই বাংলাদেশের যুবসমাজের মধ্যে বেকারত্ব নামক সমস্যাটা যেন আর না থাকে। সকলে যেন খুব সহজে আর ডিজিটালভাবে নিজ মেধা কাজে লাগিয়ে আত্বনির্ভরশীল হতে পারে।

আশা করি সেল্ফ নিয়ে আজ থেকে আর কারও মধ্যে ভুল ধারণা থাকবে না। সেল্ফে কে কি নিয়ে কাজ করবেন তা আপনি নিজেই ঠিক করুন। এটা সেল্ফের দায়িত্ব নয়। সেল্ফের দায়িত্ব আপনার কাজে সহায়তা করা, উন্নত ও দ্রুততম সার্ভিস প্রদান করা, ট্রেন আপ করানো ইত্যাদি।

আপনি বিনা পুঁজিতে বা স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে ডিজিটাল উপায়ে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করতে চান, করতে পারেন।

আপনি রিসেলিং এ ভালো। রিসেলিং করে ইনকাম করতে চান, করতে পারেন।

আপনি মানুষের সাথে ভালো কমিউনিকেশন বা লোকাল মার্কেটিং জানেন, তাহলে লোকাল আউটলেট নিয়ে কাজ করতে পারেন।

আপনি ড্রাইভার। গাড়ি চালাতে পারেন, তাহলে রাইড শেয়ারিং নিয়ে কাজ করতে পারেন।

আপনি ই-কমার্স বিজনেস পছন্দ করেন, তাহলে ভেন্ডরশিপ নিয়ে কাজ করতে পারেন।

আপনি হোলসেলার, তবে হোলসেল নিয়ে কাজ করতে পারেন।

আপনি সব কিছু নিয়েই কাজ করতে চান, তাহলে সেটাও করতে পারেন।

নাকি আপনি কিছুই পারেন না? তাহলেও আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে ট্রেনিং নিয়ে নিজেকে দক্ষ বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

এরকম আরও অনেক কিছু নিয়েই আপনি সেল্ফে কাজ করতে পারবেন। নিজের স্বপ্নের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন এবং অন্যকে ক্যারিয়ার গড়তেও সহযোগিতা করতে পারবেন। তবে আপনি যা-ই করেন না কেন, রাতারাতি সফলতা আসবে না। মনে রাখবেন, সৎ ও হালালভাবে কাজ করলে কখনোই রাতারাতি সফলতা আসে না। তবে লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই।

আমি সেল্ফে যুক্ত হতে পেরে সত্যিই গর্বিত। ধন্যবাদ আমাদের কোম্পানির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন শাহীন স্যার কে।

বাংলাদেশে বা বিশ্বে এমন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো আইটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। আপনার জানা থাকলে নিশ্চয়ই কমেন্ট করে জানাবেন।

বিস্তারিত বুঝতে আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনWhatsApp/Telegram/imo/BiP/Signal: 01978654076

অথবা আমাদের টিমে জয়েন হতে পারেন।

https://www.facebook.com/groups/TeamDURBAR/?ref=share

ধন্যবাদ...।

মোঃ রাজু মন্ডল ( সেল্ফ বিজনেস এসোসিয়েট)

টিম দুর্বার